নিজস্ব প্রতিবেদক : অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনীতে উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণের লক্ষ্যে’ আয়োজিত পরামর্শমূলক কর্মশালায় যোগ দিয়ে বলেন, “শব্দদূষণ রোধে আমাদের ‘লাউড কালচারের’ বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যেমনটি অন্যান্য সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে। রাস্তার পাশে হঠাৎ করেই কেউ উচ্চস্বরে চিৎকার করে কথা বলা, যানবাহনে অতিরিক্ত হর্ন বাজানো কিংবা মাইক ব্যবহারে সীমালঙ্ঘন, এগুলো শুধু আইন লঙ্ঘন নয়, এগুলো আচরণগত অবক্ষয়ও বটে। আচরণ পরিবর্তনের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি।”
সৈয়দ রিজওয়ানা হাসান আরও যোগ করে বলেন, “বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন নিরব এলাকাতে শব্দদূষণ রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে জনগণকে জানাতে হবে শব্দদূষণও এক ধরনের সহিংসতা, যার পরিণতি মারাত্মক।”
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “উৎসবে উচ্চমাত্রায় গান বাজানো হয়, এসব নিয়ন্ত্রণে আচরণগত এবং মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন জরুরি। বহুদিনের সমস্যা একদিনে নিরসন সম্ভব না হলেও এর প্রক্রিয়া শুরু করলে তা দূর করা সম্ভব হবে। বর্ষবরণে একটি দুটি নির্দিষ্ট স্থান আতশবাজির জন্য নির্ধারিত করা হবে, এতে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।”
‘হাইড্রোলিক হর্নের আমদানি নিষিদ্ধ, তাই আমদানিকারকদের পাওয়া কঠিন। জরুরি অবস্থায় সাইরেনের ব্যবহারকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মোটরসাইকেল ও গাড়িতে নিজ দায়িত্বে হর্ন দেওয়া বন্ধ করতে হবে’-যোগ করেন উপদেষ্টা।