নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে হানিফ মোল্লা (২৩) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে নগদ অর্থ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্স নাদিমের ছোট ভাই আনিস ভূইয়ার বিরুদ্ধে।
গত ১৪ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের সুখের ঠিকানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মারধরের শিকার ভুক্তভোগী হানিফ মোল্লার পিতা নূর মোহাম্মদ মোল্লা বাদী হয়ে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিমের ছোট ভাই আনিস ভূইয়া, সুখের ঠিকানা এলাকার হৃদয়, নাফিজ ও সোহাগকে বিবাদী করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দিলেও নগদ টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনটাই অভিযোগ ভুক্তভোগী বাদীর। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল রাত আনুমানিক ৯টার দিকে সুখের ঠিকানা এলাকার বাসিন্দা আনিস ভূইয়া, হৃদয়, নাফিজ, সোহাগসহ আরো বেশ কয়েকজন উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লাকে তার বসতবাড়ি সুখের ঠিকানায় অবস্থিত বালুর মাঠে ডেকে নেয়। পরে ডেকে আনা হানিফ মোল্লাকে এলোপাথারিভাবে পিটিয়ে তার কাছ থেকে নগদ ৮ হাজার টাকাসহ তার ব্যবহৃত ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় আনিস ভূইয়াসহ তার সাথে থাকা হৃদয়, নাফিজ ও সোহাগ। পরদিন মারধরের শিকার হানিফ মোল্লার পিতা নুর মোহাম্মদ মোল্লা বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সিরাজদিখান থানার এএসআই সানোয়ার ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করলেও নগদ টাকা উদ্ধার করতে পারেননি।
অভিযোগের বাদী নুর মোহাম্মদ মোল্লা মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি সত্য। তারা আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে আমার ছেলের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায়। পুলিশ মোবাইলটা উদ্ধার করে দিয়েছে, কিন্তু টাকা উদ্ধার করে দেয়নি। এ ঘটনায় আমরা কারো সাথে মীমাংসায় যাইনি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। কেয়াইন ইউনিয়নের সুখের ঠিকানা এলাকায় তারা অপরাধের রাম রাজত্ব কায়েম করছে।
অভিযুক্ত আনিস ভূইয়ার বড় ভাই জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রিন্স নাদিম বলেন, মারধরের শিকার হানিফ মোল্লার বিরুদ্ধে রড চুরির অভিযোগ রয়েছে। আমার ভাইসহ কয়েকজন মিলে তাকে ধরে চুরির রড উদ্ধার করে। আমার ভাই কোন ঘটনাই ঘটায়নি।
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার এএসআই সানোয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে। ভিকটিমের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।