নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম যথাক্রমে বাড়ানো হয়েছে প্রতি লিটারে ১৪ ও ১২ টাকা। মঙ্গলবার সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এ তথ্য জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, “আন্তর্জাতিক বাজার ও ট্যারিফ কমিশনের ফর্মুলার ভিত্তিতে সয়াবিন তেলের দাম পুনঃনির্ধারণ করেছি। এই মুহূর্তে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে পাঁচ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ৯২২ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৯ টাকা। কিন্তু শিল্পের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আমরা দাম নির্ধারণ করেছি। নতুন এ দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে।”
মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, “সরকার ভোজ্য তেলে কর অব্যাহতি দিয়েছিল। এতে মাসে ৫৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কমে গিয়েছিল। সরকারের পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ করার জন্য রাজস্ব অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। রমজানকেন্দ্রিক চিন্তা করে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার একটা কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সয়াবিন তেলের কর অব্যাহতি সুবিধাটা আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, রোজার আগে দাম সহনীয় রাখতে সরকার ভোজ্যতেলের শুল্ক-করে যে রেয়াত দিয়েছিল, তার মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়। তার আগেই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন মিল মালিকেরা। বোতলের সয়াবিনের দাম তারা একলাফে ১৮ টাকা বাড়াতে চান। আর খোলা সয়াবিনের দাম বাড়াতে চান লিটারে ১৩ টাকা। ভোজ্যতেলের কর অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরদিন ১ এপ্রিল থেকে এই দর কার্যকরের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গত ২৭ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দেয় মিলারদের সংগঠন।