নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে উপর প্রথম হামলার দুই মাস উপলক্ষে “হামলার প্রতিবাদ হাসিমুখে অবস্থান” নামে ব্যতিক্রম কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শহরের সুপারমার্কেট শহীদ চত্বরে দাঁড়িয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে হাসিমুখে অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এসময় নানা স্লোগানের সাথে ছাত্রদের ছিলো হাসির উচ্ছ্বাস।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৭ জুলাই মুন্সীগঞ্জে ন্যায্য অধিকারের দাবিতে শহীদ চত্বরে দাঁড়িয়েছিলো ছাত্ররা। এসময় আন্দোলনে সন্ত্রাসী হামলা ও নিপীড়ন চালায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। চলে বেধড়ক মারধরের ঘটনা। আহত হয় অনেক ছাত্র-ছাত্রী। ভয়-ভীতি নিয়ে পালাতে হয় তাদের। ন্যাক্কারজনক এই হামলার প্রতিবাদ ও সঠিক বিচারের দাবি জানায়।
দেশে আর হামলা, সন্ত্রাস নিপীড়ন কিংবা ভয়-ভীতির পুনরাবৃত্তি নয়। ছাত্র-জনতা হাসতে চায়, বাঁচতে চায়, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে চায়। কোন ক্ষমতা স্থায়ী নয়। তাই দেশের সকল ছাত্র-জনতাকে হাসিমুখে বাঁচার পরিবেশ তৈরি করার জন্য সবাইকে এক থাকতে হবে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাত্র শেখ আহমেদ ফয়সাল বলেন, গত ১৭ জুলাই আমাদের যৌক্তিক দাবিতে আমরা এখানে এসেছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর নৃশংস হামলা করেছিলো। আমরা চাই, প্রচলিত আইনে এর বিচার হবে। যে স্থান থেকে আমাদের বিতাড়িত করেছে, সেখানেই আমরা ফিরেছি হাসিমুখে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা এখন নেই, তারা আর ফিরে না আসুক।
নোমান আল মাহমুদ বলেন, অস্ত্র লাঠির ক্ষমতা, রুখে দিয়েছে জনতা। এখন আমরা হাসতে চাই। এ হাসি সন্ত্রাস ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে এক ধরনের প্রতিবাদ।
পরে একই দাবিতে মিছিল বের করে ছাত্ররা। মিছিলটি স্থানীয় সড়ক ও শহীদ মিনার চত্বর প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।