নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে আওয়ামী সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ২২টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের স্থান পরিদর্শন করেন জেলা-উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার বিকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নতুন ভাষানচর গ্রামে গত ৮ আগস্ট ভোর ৬টা হতে দিনব্যাপী সংঘর্ষিত ঘটনাস্থলসমূহ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ মোল্লা ও জসিম উদ্দিন খান খোকন, সিরাজদিখান উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার ভূইয়া ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ, সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি নাফিছ খান, সভাপতি নজরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ ও রাকিব মোল্লা, মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাসেল, সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা ফাহিম, লতব্দী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ সিহাব, কেয়াইন ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ ফয়সাল আলী ও সাধারণ সম্পাদক ইদরান শেখ, সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবু, কেয়াইন ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি মোঃ নবী, লতব্দী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন সাহিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সিরাজদিখান-বালুচর মেইন সড়ক হতে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের নতুন ভাষানচর ব্রিজের ঢালে হাজী মার্কেট সংলগ্ন জয়নাল মিয়ার বাড়ি থেকে কাদির সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার ইট বিছানো কাঁচা রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার মানুষ চলাচল করে আসছে। গত ২৪ জুলাই রাতে সে রাস্তায় অটোরিকশা চলাচলের কারণে রাস্তায় লাগোয়া মৃত হাজী চাঁন মিয়ার ছেলে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদ নুরু হেনার পাকঘরের সমস্যা হয়। সমস্যার কারণে নুরু হেনার স্ত্রী হেনা বংশের মৃত আমির হোসেন হেনার ছেলে হাবিবুল্লাহ হেনা ও সাফায়েত উল্লা হেনাসহ কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে রাস্তার মাঝের ইট সরিয়ে পিলার স্থাপন করে। হাবিবুল্লাহ হেনা ভুক্তভোগী সুলতান সিকদারসহ কয়েক পরিবারের লোকজনকে এ পিলার সরালে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এতে ভুক্তভোগীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পিলার সরানোর বিষয়ে বিএনপির নেতা আনিছ বেপারী ও লতব্দী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন মাদবর মীমাংসার চেষ্টা করেন। গত ২৫ জুলাই সকালে হাজী মার্কেটে এ বিষয়ে আলী হোসেন মোল্লার সাথে আগে থেকে জড়ো হওয়া হাবিবুল্লাহ গংদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় আলী হোসেন মোল্লার সাথে নুর হোসেন বেপারী যোগ হয়। হাবিবুল্লাহ গং হামলার উদ্দেশ্যে আলী হোসেনদের ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এরই জেরে গত ৮ আগস্ট ভোর ৬টা হতে দিনব্যাপী সংঘর্ষে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সিরাজদিখানে বিএনপির বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের স্থান পরিদর্শন করেন নেতৃবৃন্দ
আগের পোস্ট