নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার সিপাহীপাড়া পুরাতন বড় মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি সিদ্দিকুর রহমান কাসেমীকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশ সদর থানা শাখার আয়োজনে সিপাহীপাড়া বাজারে ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাসহ নানা দাবীতে গণসমাবেশ হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। সমাবেশে জাতীয় ওলামা একরাম প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিপাহীপাড়া পুরাতন বড় মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি সিদ্দিকুর রহমান কাসেমী। বক্তব্য শেষে তিনি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়াতে সিপাহীপাড়া পুরাতন বড় মসজিদে গেলে মসজিদের গেইটের সামনে থেকেই মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী আমান উল্লাহ খান মসজিদের ইমাম সিদ্দিকুর রহমান কাসেমীকে ধমকের সুরে নামাজ পড়াতে নিষেধ করে মসজিদ থেকে বের করে দেন। এই ঘটনাটি ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশ সদর থানা শাখার নেতাকর্মীরা জানতে পেরে মাগরিবের নামাজের পর ঐ মসজিদে যান এবং ইমামকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার কারণ জানতে চান। এ ঘটনায় পরে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশ নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে ইমামকে তার কর্মস্থলে ইমামতি করার সিদ্ধান্ত নেয় মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে সিপাহীপাড়া পুরাতন বড় মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী আমান উল্লাহ খান বলেন, আসলে একটু ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। পরে ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা এসে ঘটনাটি জেনে সমাধান করে দিয়েছেন। ইমাম ও খতিব হিসাবে মুফতি সিদ্দিকুর রহমান কাসেমীই এই মসজিদের ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
এ বিষয়ে ইমাম ও খতিব মুফতি সিদ্দিকুর রহমান কাসেমী বলেন, আমাকে মসজিদ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে উভয়পক্ষের আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টি সমাধা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে সমাবেশে বক্তব্য রাখায় মসজিদ কমিটির সভাপতি ইমামকে মসজিদ থেকে বের করে দিলো
আগের পোস্ট