নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কোটা আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের পরিবারের খোঁজখবর নিলেন স্বেচ্ছাসেবক দল, স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। এসময় পরিবারটিকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামে শহীদ মেহেদী হাসানের পৈতৃক বাড়িতে তার পিতা মোঃ সানাউল্লাহ’র হাতে এই অর্থ তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, বর্তমান আমেরিকা প্রবাসী ড. মোঃ শাহানুর হোসেন।
জানা যায়, সাবেক কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান হারুন অর রশিদ এর সমন্বয়ে তার ভাগিনা ড. মোঃ শাহানুর হোসেন পরিবারটিকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোঃ ইদ্রিস মিয়াজী মোহন ৫০ হাজার টাকা ও তিনি নিজে ২০ হাজার টাকাসহ মোট ১ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকার আর্থিক সহযোগিতা করেন।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খালেদ সাইফুল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল, গজারিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন, গজারিয়া উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন, গজারিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ মিয়াজী, স্থানীয় বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির ঢালী, জহির ফরহাদ, বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুম রানা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলন করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় মেহেদী হাসানের (২০)। নিহত মেহেদী হাসান গজারিয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (জিস্ট) এর শিক্ষার্থী ছিল। সে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামের সানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে। বাবা প্রবাসী হওয়ায় মা শিল্পী বেগমের সাথে নানাবাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঝাউচর গ্রামে বসবাস করতো সে।