নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মূল শহরের শ্রীনগর চকবাজার হতে বেজগাঁও বাসস্ট্যান্ডগামী রাস্তায় শ্রীনগর চকবাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন খালের ওপর নির্মিত একটি সেতু নির্মাণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। পাশাপাশি সেতুর নির্মাণ কাজ চলাচলকালে বিকল্প রাস্তাটি না থাকায় চলাচলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছে পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা। নির্ধারিত মেয়াদে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি অনেকাংশে কম। এতে মানুষের চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি ও চরম দুর্ভোগ। নির্মাণের জন্য সেতুটি ভাঙ্গার পর সঠিক বিকল্প রাস্তা না থাকায় ইতিমধ্যে ঘটেছে একাধিক ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রীনগর-বেজগাঁও বাসস্ট্যান্ডগামী রাস্তার উপর নির্মিত সেতু পুনঃনির্মাণের জন্য গত দুই বছর পূর্বে সেতুটি ভেঙ্গে নির্মাণ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব হোসেন এন্টারপ্রাইজ। পুরনো সেতু ভেঙ্গে নতুন সেতু করার জন্য সাইডে যাতায়াতে ভালো বিকল্প কোন রাস্তা করা হয়নি। বিকল্প যে রাস্তাটি করা হয়েছে তা অনেক নিচু। আর এই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলা তো দূরের কথা, সাধারণ পথচারীদের হেঁটে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বিকল্প এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন যাত্রী নিয়ে নানা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় সেতু নির্মাণ কাজ ইচ্ছে করেই ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার ঢিলেঢালাভাবে করছেন। তাদেরকে কোন কথা বললে তারা রেগে যায়। আমরা দ্রুত সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাহবুব হোসেন এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী রিন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রীজটি রিভাইজের জন্য আমাদের আরো অনেক সময় আছে। একটা ব্রীজ করতে গেলে অনেক কিছুই হয়। ব্রীজ ছিল অনেক বড়, সেটা ছোট করা হয়েছে। এটাকে আরো ছোট করা দরকার ছিল। আমাদের হাতে এখনও এক বছর সময় আছে।
ধীরগতিতে সেতু নির্মাণ কাজ চলার ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মহিফুল ইসলাম বলেন, এই ব্রীজ করতে গিয়ে আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের আগ পর্যন্ত আমাদের কাজ চলমান ছিল। উত্তরাঞ্চলে বন্যা হওয়ায় শ্রমিকরা আসতে পারছে না। ঈদের পর শ্রমিকরা আসা শুরু করেছে। শ্রমিকরা আসলেই সেন্টারিংয়ের কাজ শুরু হবে। আশা করি, এই বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ নির্মাণ কাজ শেষ হবে।