নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের দীঘিরপাড় বেকারিতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ অনুসন্ধানে সার্বিক চিত্রে দেখা যায় মোঃ আলি মাওলা দোকানের ভিতরে বেকারির আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরিকৃত পণ্য। শ্রমিকেরা খালি পায়ে ও খালি গায়ে নোংরা পরিবেশে এসব পণ্যের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছেন। আটা, ময়দা প্রক্রিয়াজাত করার কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিষ্কার। নোংরা ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভনভন করছে। এমনকি ময়দা মাখানোর জন্য ইট দিয়ে বানানো চৌবাচ্চার মধ্যেই পড়ে মরে আছে মাছি ও তেলাপোকা। বেকারির এই নোংড়া পরিবেশেই বানানো হচ্ছে ক্রিমবিস্কুট। এসব বেকারির মালিকরা মোড়কবিহীন ভেজাল খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করছে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরি খাবার রাখা আছে সেখানেই আটা, ময়দার পাশেই রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, কেমিক্যাল ও পোড়া পাম ওয়েলের ময়লাযুক্ত কড়াই।
মুন্সীগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের মনিটরিং কার্যক্রম না থাকায় আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছে।