নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কেওয়ার মিয়াবাড়ি জামে মসজিদের প্রাচীন মিনার ভাঙার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে খাজা শাহেন শাহ হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হানিফ চিশতী (রাঃ আঃ) এর ভক্তবৃন্দের আয়োজনে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সফিউদ্দিন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভক্তবৃন্দ বলেন, ১৯৩৫ সালে নির্মিত হয় ছয়তলা বিশিষ্ট সুউচ্চ প্রাচীন মিনার। এই মসজিদের মিনারটি মসজিদের কতিপয় কমিটির সদস্যরা গত ১৫ জুন ভেঙ্গে ফেলার কাজটি শুরু করে। এ পর্যন্ত তিনতলা পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদের মুখে পড়ে ভেঙ্গে ফেলার কাজটি সাময়িক বন্ধ রাখে। কিন্তু আবারো মিনারের বাকী অংশ ভেঙ্গে ফেলার কাজটি শুরু করার পায়তারা করছে। স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন মিয়ার নেতৃত্বে শাহীন, শিপলু গংরা মিনার ভাঙ্গার কাজটি করছে। ঐতিহ্যবাহী ওয়াকফ্কৃত প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপত্য ভেঙ্গে ফেলার কাজটি বন্ধ রাখতে সচেতন মহলের দাবী।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আরো জানা যায়, ১৯০৫ সালে খাজা শাহেন শাহ হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হানিফ চিশতি (রাঃ আঃ) প্রকাশ পাঞ্জাবী হুজুর ইসলাম প্রচার ও বারো আউলিয়াদের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য মুন্সীগঞ্জের কেওয়ারে আগমন করেন। এরপর ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ছয়তলা বিশিষ্ট সুউচ্চ এই মিনারটি নির্মাণ করেন। তিনিই কেওয়ার মিয়াবাড়ি জামে মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা এবং মুতাওয়াল্লী ছিলেন। দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও মিনারটি দেখতে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আশেকান, দর্শনার্থী এখানে আসেন। এসব কারণে মিনার ভাঙ্গার কাজের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানায়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বার আউলিয়া মাজার কমিটির দপ্তর সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মোঃ মসিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিম ঢালী, প্রচার সম্পাদক মোঃ আজহারুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক কাজী আনিছ, সদস্য মোঃ ফয়সাল প্রমুখ।