নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দয়হাটা টেক্কামার্কেটে সপ্তাহে জুড়ে সকাল সন্ধ্যা দেশী শাক-সবজির জমজমাট হাট বসে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে আগত ক্ষুদ্র ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা ট্রলি, পিকআপভ্যান ও ট্রাক ভরে সবজি কিনে নিকটস্থ বাজার ও শহরে নেয়। এমন চিত্র সারা বছর ধরে দেখা গেলেও শীতের শুরুতে জাঁকজমকভাবেই বেচাকেনা শুরু হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দুপুরের পর থেকেই টেক্কা মার্কেটে এসে ভিড় জমান।
গতকাল রবিবার সকালে ওই হাটে গিয়ে দেখা যায়, শীতকালীন শাক-সবজিতে ভরে আছে বাজার। সাজিয়ে রেখেছেন কৃষকেরা। ব্যবসায়ীরা দরদাম করে কিনে ছোট ছোট অটোরিক্সায় ভরছেন। এভাবে বিক্রি হচ্ছে মূলা, লাউ সাথে ডোগা, ফুলকপি, টমেটো, কাঁচা মরিচ, ছোট কুমড়া, আলু, শিম, করলা, লালশাক, পুঁইশাক, পেঁপেসহ নানান শাকসবজি। তবে শীতকালীন সবজি চোখে পড়ার মত। দাম হাতের নাগালে থাকায় ক্রেতারাও খুশি।
সাম্প্রতিক সিত্রাংয়ের ভয়াবহ তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল কৃষকের স্বপ্ন। আড়িয়ল বিলের কৃষকেরা কমবেশি সবাই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বসতবাড়ি হতে বিলের কৃষিজমি পর্যন্ত ছাড় পায়নি সেই প্রচন্ড ঝড়ে। চড়াই উতরাই পার করে ধারদেনা করে অর্থ যোগাড় করে পুনরায় ফসলি জমিতে বীজ বপন করেন। ঐতিহ্যবাহী আড়িয়ল বিল নিকটস্থ রবি শস্যের পর শীতের মৌসুমে গাদিঘাট, দয়হাটা, মুন্সীরহাটি, ষোলঘর, হাঁসাড়া, আলমপুর, বাড়ৈখালী ও মদনখালী এলাকায় ব্যাপকহারে সবজি চাষ হয়। এসব এলাকার কৃষকেরা সবজি উৎপাদন করে লাভবান হওয়ায় দিন দিন শাক-সবজির আবাদ বাড়ছে। চলতি শীত মৌসুমে ফসলের মাঠজুড়ে শীতকালীন শাক-সবজি। কৃষকরা ক্ষেত থেকে শাক সবজি সংগ্রহ করে গ্রামের হাটে উঠান। স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত ফরমালিনমুক্ত টাটকা শাকসবজি উৎসাহের সাথে ক্রয় করে গ্রামের ছোটখাটো ব্যবসায়ীরাও।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, তারা প্রায় সারাবছর বিভিন্ন শাক সবজি উৎপাদন করেন। তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য টেক্কা মার্কেটে উঠান। ব্যবসায়ীরা নগদ টাকায় কিনে নিয়ে শ্রীনগর বাজার অথবা শহরে সাপ্লাই দেন।
শ্রীনগর দয়হাটা টেক্কামার্কেটে ভরপুর শীতকালীন সবজি
আগের পোস্ট