নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে গরমে আখের রসের সরবত বিক্রিতে ধুম লেগেছে। মৌসুমী এ আখকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জ শহরের আনাচে কানাচে একাধিক আখের রসের সরবতের ভাসমান দোকান গড়ে উঠেছে। মাঘ ও পৌষ মাসে এখানে স্থানীয় আখ তেমনটা পাওয়া যায় না বলে দোকানীরা জানিয়েছে। তখন বাইরের জেলা থেকে চড়া দামে আখ কিনে এ ব্যবসা সচল রাখা হয়। ভাদ্র মাস থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত তাপদাহ থাকে দেশময়। তাই এখন গরমের যুদ্ধ চলছে। অনেকদিন ধরে তাপদাহে পুড়ছে মুন্সীগঞ্জবাসী। বৃষ্টি হলেও কোনভাবেই গরম কমছে না। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মুন্সীগঞ্জবাসী। এ গরমে এখন অফিস আদালত খোলা। এসব অফিসে মানুষ নানা কর্ম নিয়ে ছুটাছুটি করছে। আর এ ফাঁকে একটু প্রশান্তির জন্য মানুষ পথের মাঝখান থেকে খোলামেলা বরফ মিশ্রিত আখের রসের সরবত প্রাণ করছেন। এসব আখের রস কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে চলতি পথের মানুষ ও নিম্নআয়ের মানুষেরা ১০ টাকা দামের এ আখের রসের সরবতকে অনেকটা নিজেদের সামর্থের মধ্যে মনে করে এ সরবত পান করে থাকেন। এখানে পথচারী ছাড়াও মিশুক ও অটোচালকরাও এ সরবত পান করে থাকেন। সরবত প্রকারভেদে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকায় কাউকে কাউকে বিক্রি করতে দেখা যায়। পুরাতন কাচারী থেকে আদালতপাড়া পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তিকে এ আখের রসের সরবত বিক্রি করতে দেখা গেছে। গরমে এখন পথে-ঘাটে আখের রসের সরবত সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। মেশিনে ভাঙ্গানো আখের রসের সরবত কিনতে মানুষ ছুটছে। এতোকিছুর পর আপনি কোথা থেকে আখের রসের সরবত খাবেন। মুন্সীগঞ্জে মহাকালীর সাতানিখিলে উৎপাদিত আখ নিয়ে আখের সরবত বিক্রি করছেন এক যুবক। মুন্সীগঞ্জে ডিসি অফিসের প্রধান সড়কে বিক্রি হচ্ছে এ সরবত। এখানে দেশীয় তৈরি সরবতের মেশিনে ভাঙ্গানো হয় আখ। মেশিনের এক অংশে রয়েছে ফুটন্ত পানি। সেই পানিতে এই যুবক গ্লাস ধুয়ে তবেই সরবত বিক্রি করেন। এ বিষয়টি ক্রেতাদের বড় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
মুন্সীগঞ্জে গরমে আখের রসের সরবত বিক্রিতে ধুম
আগের পোস্ট