নিজস্ব প্রতিবেদক
২০১৫ সালে মুন্সীগঞ্জ জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল হাসান বাদল এর উদ্যোগে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের সন্নিকটে বই পৌঁছে দেওয়ার মহৎ উদ্দেশ্যকে ব্যক্ত করে ১৯ ডিসেম্বর জেলার ৬৭টি ইউনিয়নসহ দুটি পৌরসভায় একটি করে মোট ৬৯টি ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থব্যয়ে এই পাঠাগারগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার তৈরিতে ৩৮ হাজার টাকা, বই ক্রয় করার জন্য ৫০ হাজার টাকা খরচসহ লাইব্রেরিয়ানকে অতিরিক্ত বেতন প্রদান করা হয়েছিল পনের শত টাকা। এত কিছুর পরও প্রকৃতরূপে উপকৃত হয়নি ইউনিয়ন পর্যায়ের বইপ্রিয় মানুষগুলো। লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারগুলো অনেকেই বর্তমান পর্যন্ত দেখেনি। শুরুর দিকে স্থানীয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এই ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারগুলো নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ ছিল। তবে তা এখন আর লক্ষ্যণীয় নয়। প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে এই ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের যাবতীয় খোঁজখবর, বইয়ের চাহিদা ও রেজিস্টার তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ইউপি সচিবকে। আর লাইব্রেরিয়ানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ইউপি চৌকিদারকে। পরবর্তীতে লাইব্রেরিয়ানের বেতন না দেওয়া, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঠিক তদারকির অভাব প্রভূত কারণে এক মহৎ উদ্দেশ্যে শুরু হওয়া ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারগুলো এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ইউপি ভবনের পাশে, ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে। আর এরই মধ্য দিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে মানুষের মাঝে বই পৌঁছে দেওয়ার মহৎ উদ্দেশ্যটি ব্যর্থ হয়। বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারগুলো পুনরায় চালু করার জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না।