নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগিঞ্জের সিরাজদিখানে সৌদি প্রবাসী স্বামী আল-আমিন গাজী (৫৬)কে ব্লেড, বটি ও চাকু দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্ত্রী-সন্তানের বিরুদ্ধে। গত শনিবার বিকাল ৪টায় উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাহের ঘাটা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আল-আমিনের বোন বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকাল ৪টায় আল-আমিনের নিজ বাড়িতে তার শাশুড়ি জায়েদা বেগম (৭০) এর হুকুমে স্ত্রী মায়া রানী (৪০) আল-আমিনকে সুইচ গিয়ার দিয়ে বুক থেকে পেট পর্যন্ত কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে আল-আমিন মাটিতে পড়ে গেলে ছেলে আসিফ গাজী (১৮) বাবার মৃত্যু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এলোপাথারি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। মেয়ে জান্নাত লিফা (২০) হাতে থাকা বটি দিয়ে বাবাকে এলোপাথারিভাবে কোপাতে শুরু করে। আল-আমিনের চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আল-আমিন বলেন, আমি গত ১৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসি। আমি দেশে আসার পর থেকেই আমার স্ত্রী-সন্তানের আচরণ একটু সন্দেহজনক মনে হয়েছে। ঘটনার দিন আমার স্ত্রী ও দুই সন্তান কী বিষয় নিয়ে বেশ কিছু সময় আলোচনা করছিলো। আমার কাছে কিছুটা সন্দেহজনক মনে হলে আমি তাদের আলোচনা শোনার জন্য আমার রুম থেকে ডাইনিং রুমে গিয়ে শুনতে পাই, আমার ছেলে তার মাকে জিজ্ঞেস করছে একেবারে মেরে ফেলবা? এই কথা শুনে আমি তাদের সামনে গেলে তারা সবাই সেখান থেকে চলে যায়। আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করি, কী হয়েছে? কী নিয়ে কথা হচ্ছিলো? বেশ কয়েকবার জিজ্ঞেস করার পরও কোন উত্তর না পেয়ে আমি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করি, তোমরা কী আমাকে মেরে ফেলার জন্য পরিকল্পনা করছো? এরপর আমার ছেলে বুক, পেট ও পিঠে চাকু, বটি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমার চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে বাড়ির পাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে মায়া রানীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদ আল মামুন বলেন, মামলা নেওয়া হয়েছে। ১ জনকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।