নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে চাষের পুকুরে মাছ ধরে নিয়ে যাবার সময়ে বাধা দেওয়া একটি পরিবার বিপদে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের লতব্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল সকালবেলা উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের লতব্দী গ্রামের মৃত আজিজ বেপারির ছেলে মনির হোসেন বেপারির চাষকৃত মাছ চুরি করে মজিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মোঃ জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাই আমির হোসেন একই গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে বিপ্লব (৩৫), আব্দুর মীর সালামের ছেলে শাহ আলম (৩৫), কলি (৩৫) সহ ৬ থেকে ৭ জন। এসময় মনির হোসেনর ভাতিজা মো. ফরহাদ হোসেন (২০) ও সেলিম দেওয়ানের ছেলে শান্ত বাধা দিলে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। বাধা উপেক্ষা করে মাছ ধরতে থাকলে তারা আবারো বাধা দিলে এক সময়ে চোরেরা তাদেরকে মারধর করে। বিষয়টি পুকুরের মালিক মনির হোসেন বেপারীকে জানালে মনির এসে দেখেন তারা সকলে মিলে পুকুরে মাছ ধরছে। নিজের সম্পদের চুরি দেখে বাধা দিলে পুকুরের মালিককেও হুমকি ধমকি দেয়। কিন্তু তারা জোরপূর্বক মাছ ধরে এবং তাকে মারতে তেড়ে যায়। এসময় বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পেরে ঘটনাস্থলে জড়ো হলে মাছ চোরদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে ক্ষুব্ধ লোকজান চোরদেরকে হালকা মারধর করে। মনির হোসেনের ছোট ভাই মো. মুক্তার হোসেন (৪০) মাছ চোরদেরকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর হাত থেকে ছাড়িয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন খান উভয় পক্ষের সম্মতিতে ঘটনার দিন বিকাল ৫টায় বিচারের সময় নির্ধারণ করে। বিচারের আগে দুপুর ৩ টায় জাকির ও তার সহযোগীরা দেলোয়ার হোসেনর ছেলে ফরহাদ হোসেনকে দোকানের সামনে পেয়ে বেধর মারধর করে। খবর পেয়ে মুক্তার হোসেন এগিয়ে আসলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এতে পাশের বাড়ীর হালিমা (৩৮) নামক এক মহিলার হাত ভেঙ্গে যায়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, আমার তালই এর পুকুর। আমার ভাইয়েরা ঢাকা থেকে এসে শখের বশে মাছ ধরতে গিয়েছিল। এসময় আমার তালই এসে বাধা প্রদান করে আর এলাকার কিছু ছোট ছেলেপেলে বাজে ব্যবহার করলে একটা দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি হয় এবং আমাদেরকে মারধর করে।
সিরাজদিখান থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষই অভিযোগ করেছে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজদিখানে মাছ চোর ধরে মার খেলো মাছ চাষী
আগের পোস্ট