নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইতালী প্রবাসী তার পৈতৃক জায়গায় দোকানঘর তুললে একটি প্রভাবশালী মহল ও থানা পুলিশের মাধ্যমে বারবার বাধা দিচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের কাকালদী গ্রামে।
কাকালদী গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন মিয়ার পুত্র ইতালি প্রবাসী মোঃ রুবেল উদ্দিন মোবাইল ফোনে জানান, কাকালদী মৌজার আর এস নং-৩৪৬ দাগের মোট জমি ৬৬ শতাংশ, যাহা ২টি নামজারী ৫৯৮ ও ৭২৫নং খতিয়ানে আমাদের ভাইবোনদের নামে নামজারী করা হিস্যা অনুযায়ী। পরবর্তীতে আমি আমার ভাইবোনদের কাছ থেকে খরিদ করে ও পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত হই এবং ভোগ দখলে আছি। জায়গাটি ঢালী আমবার নিবাস রিসোর্টে প্রবেশের আগে পাকা রাস্তার পাশে হওয়ায় প্রভাবশালী ভূমিখেকোদের নজরে পড়ে যায়।
আমার বড় বোনের স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আমার ভাইবোনদের নিকট থেকে কিছু জমি ক্রয় করেন। আরো বেশকিছু জমি আমি যে ভাইবোনদের কাছ থেকে পূর্বে খরিদ করেছি, পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর আলম একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের লোকজনের মাধ্যমে সেই ভাইবোনদের নাম দিয়ে জাল দলিলের মাধ্যমে বেশকিছু জায়গা দলিল তৈরির মাধ্যমে নামজারী করেন।
জাহাঙ্গীর এখন পুরো ৬৬ শতাংশ জমি দখলের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্নভাবে। পুলিশের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। বর্তমানে পুলিশ তদন্তে তার তথ্য জেনে যাওয়ায়, সে প্রভাবশালীদের দিয়ে হুমকি দিচ্ছে। আমরা আদালতে গিয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে জাল দলিল তৈরি ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে মামলা করেছি।
আমার পৈতৃক ওয়ারিশ ও ভাইবোনদের নিকট থেকে ক্রয়কৃত জমিতে আমি দোকানঘর নির্মাণ করছি। তখনই জাহাঙ্গীর ভাই পুলিশ দিয়ে কয়েকবার বাধা দেয়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী আমাদের দুই পক্ষের কাগজ নিয়ে যেতে বলে থানায়। পরে আমরা আমাদের কাগজপত্র নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে গেলেও জাহাঙ্গীর ভাই তার কাগজপত্র নিয়ে আর থানায় আসেনাই। আমাকে বারবার হুমকি দিচ্ছে। আমি দেশে থাকলে মনে হয় জাহাঙ্গীর আমাকে মেরেই ফেলতো।
মধ্যপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আজিম আল রাজী আমার চাচাতো ভাই হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম বড় বড় নেতা ও প্রভাবশালীদের দিয়ে তাকে ফোন দেয় আমাকে কাজ বন্ধ করার জন্য।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সিরাজদিখান থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মোক্তার হোসেন জানান, জাহাঙ্গীর থানায় এসে অভিযোগে জানায়। আমি উভয়পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকি। কিন্তু জাহাঙ্গীর থানায় আসেনি ও যোগাযোগ করেনি। প্রবাসী রুবেল ও জাহাঙ্গীর তারা আত্মীয়। জমিসংক্রান্ত বিষয়টি আদালতের। কিন্তু শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম।