নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে জমি নিয়ে বিরোধে ওয়ারিশ মালিকানা মামলা করে বাড়িছাড়া দুই পরিবারের ১২ জন সদস্য। গত শুক্রবার দুপুরে সিরাজদিখান উপজেলায় এক স্বজনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড় শিকারপুর এলাকার কালি দাস মন্ডল, বিপুল মন্ডল ও দিপু মন্ডলের সঙ্গে আশুতোষ মন্ডল, বিমল মন্ডল ও তার স্বজনদের এক একর ১১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ইং আশুতোষ মন্ডল ও বিমল মন্ডল এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা ভূমি অফিসে মিস কেস বা আপত্তি মামলা করেন। কেস নং- ৬৭৪৪/২০১৩-১৪। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৬ এবং ৮ এপ্রিল কালি দাস মন্ডল, বিপুল মন্ডল ও দিপু মন্ডলের লোকজন ও তার সমর্থক লাল মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন, তারা মিয়ার ছেলে সোলেমান, মোঃ সানিসহ অজ্ঞাত ৪/৬ জন বিমল মন্ডল ও আশুতোষ মন্ডলের উপর হামলা করে। তারা লোহার হাতুরি দিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বিমল মন্ডলের হাত ও পা ভাঙচুর করে। পরে নগদ টাকা ও দুটি মোবাইল লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় আহত ২ জনকে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে আশুতোষ মন্ডল ও বিমল মন্ডলের লোকজন হামলাকারীদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে গেলে প্রথমে পুলিশ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে তারা সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে আশুতোষ মন্ডল ও বিমল মন্ডল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কালি দাস মন্ডল, বিপুল মন্ডল ও দিপু মন্ডলের পরিবারের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সিরাজদিখান সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে পিটিশন মিসকেইস মামলা করি। এরপর কালি দাস মন্ডল, বিপুল মন্ডল ও দিপু মন্ডল ভাড়াটে লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের বাধায় আমরা বাড়িতে যেতে পারছি না। রাস্তায় তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে বসে থাকে।
ভুক্তভোগী বিমল মন্ডল বলেন, আমরা আমাদের বাড়িতে থাকতে পারছি না। আমাদের বাড়িতে গেলে ওরা আমাদের কেটে ফেলবে। কামাল, সোলেমান মোঃ সানি ও বিপুল মন্ডলের নেতৃত্বে ভাড়া করা লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা আমাদের প্রকাশ্যে মারধর ও লুটপাট করেছে। আমরা বাঁচতে চাই। আমরা আমাদের ওয়ারিশ সম্পত্তি ফিরে পেতে চাই। আমরা হামলাকারীদের বিচার চাই।
অভিযোগ অস্বীকার করে কালিদাস ও বিপুল মন্ডল জানান, আমরা কামাল ও তারা মিয়ার ছেলেদের ভাড়ায় মারধর করতে আনিনি। এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।
সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শাহেদ আলম মামুন বলেন, ওই ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।