নিজস্ব প্রতিবেদক
আবর্জনা ও কচুরিপানায় ভরে গেছে সিরাজদিখানের দীঘির পাড়ের দীঘিটি। উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের উত্তর বাসাইলের দীঘিটিকে ঘিরে গ্রামের নাম দীঘির পাড়। দীঘিটি আয়তনে প্রায় ৫ একর জায়গা জুড়ে। এই দীঘির দূষিত পানি গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করছে এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী। পঁচা পানির গন্ধে ও মশার উপদ্রবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দীঘি সংলগ্ন বাড়িতে বসবাসকারী ও দীঘির পাড়ের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীরা। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীঘিটির পানি ব্যবহারের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীঘিটি আবর্জনা ও কচুরিপানায় ভরে আছে। পুকুরের দুই পাড় দিয়ে রাস্তা ও অন্য দুই পাড়ে রয়েছে অসংখ্য বাড়ি। পুরো পুকুরই যেন ময়লার ভাগাড়। স্থানীয় আতিক বলেন, আমাদের এ দীঘিটা আমাদের পরিচয় বহন করে। এ দীঘিকে ঘিরে শতাধিক পরিবারের বসবাস। প্রতিটি পরিবারই এর পানি ব্যবহার করতো, সাঁতার কাটত। কিন্তু গত ১০-১২ বছর যাবত দীঘিটি কচুরি ও ময়লা আবর্জনা দিয়ে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন বিষধর সাপ, পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ এসে দীঘির পাড়ের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করছে। কেউ এখন রাতে নির্বিঘ্নে বসবাস ও চলাফেরা করতে পারছে না। তারা এর সমাধান চায়। দীঘির পাড় জামে মসজিদের সভাপতি আব্বাস খান বলেন, দীঘিটি সংস্কার করলে পাড়ের মানুষ শান্তিতে বাস করতে পারবে। মাছচাষ করতে পারলে এলাকার আমিষের চাহিদা পূরণসহ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। বাসাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, দীঘির বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। এখন অবগত হলাম আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়টা আমি অবগত ছিলাম না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম সংশ্লিষ্ট পুকুরের মালিকানার উপর বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।