নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাইকশা সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় ক্লাব ঘরের নামে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ব্রাহ্মণপাইকশা গ্রামের হারুন অর রশিদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কোলাপাড়া বাজার-সমষপুর সড়কের ব্রাহ্মণপাইকশা গ্রামের ফরিদের বাড়ির পাশে কাঠ ও টিনের ঘরটির নির্মাণ কাজ চলছে। এসময় কয়েকজন তরুণকে হাতে বাঁশের লাঠি নিয়ে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে। ঘর নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে এক তরুণ নিজেকে ছাত্র পরিচয় দিয়ে জানান, এখানে ব্রাহ্মণপাইকশা যুব সংঘ নামে একটি ক্লাব ঘর তোলা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, মাদক পাচার রোধে এখানে ক্লাবের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে জায়গাটির সঠিক মালিকানা সম্বন্ধে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি তারা।
স্থানীয়রা জানায়, হারুন অর রশিদের একটি পুরান ঘর গাবতলা সড়কের পাশে ছিল। ঘরটি কয়েকদিন আগে রাতের আঁধারে ভেঙ্গে ব্রাহ্মণপাইকশা এনে তরিঘড়ি ঘরটি তোলা হয়। ঘর নির্মাণের সময় হারুন অর রশিদের ছেলে ও ভাতিজারা হাতে লাঠি নিয়ে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকে। এতে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। অত্র এলাকার সকলেই জানেন হারুন অর রশিদের কাজই সরকারি কিংবা মালিকানার বিরোধপূর্ণ জায়গা ক্রয়ের নামে দখল করা। এভাবে তিনি এলাকায় একাধিক বিরোধপূর্ণ জায়গা দখল করে নিয়েছে। এলাকায় তার বিষয়ে খোঁজ নিলেই সব জানা যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি জানান, হারুন অর রশিদের কোন দল নেই। আওয়ামী লীগের সময় তিনি আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে কোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে সরকারি খাল দখলের চেষ্টা করে। কয়েক বছর আগে মাটি ভরাট করতে গিয়ে একটি সেতুর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেন। ওই সময় তার এসব জায়গা দখলের নানা সচিত্র প্রতিবেদন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তোপের মুখে পড়েন। ক্ষমতার পালা বদলে হারুন অর রশিদও এখন বিএনপি নেতার পরিচয়ে ব্রাহ্মণপাইকশা সরকারি পুকুরের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করেন। তার বসতবাড়ির পাশেও ক’দিন আগে মালিকানা বিরোধপূর্ণ জায়গা দখলের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অর রশিদ দাবী করেন, ব্রাহ্মণপাইকশা সরকারি পুকুর ও সড়কের পাশে ঘর নির্মাণের জায়গাটি তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। এখানে সরকারি পুকুরের জায়গা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এক বিএনপির নেতার সাথে তার বন্ধুত্ব বলে এ বিষয়ে এড়িয়ে যান।
দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন জানান, এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।