নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে একটি ভূমি অফিসের ভিতরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারধরে এক যুবক আহত হয়েছে। দ্বীন ইসলাম (৩০) নামে আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গত রবিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এই ঘটনা ঘটে। দ্বীন ইসলাম কুকটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সিন্দুরদী গ্রামের মোঃ ইউনুছ বেপারীর পুত্র। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একই গ্রামের মরহুম ইয়াকুব বেপারীর পুত্র সালাম বেপারী, মিজানুর বেপারী, আলী আকবর বেপারী ও আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, সালাম বেপারী নারায়ণগঞ্জে থাকেন। মাধে মধ্যে গ্রামে আসেন। প্রতিবেশী ইউনুছ বেপারীদের সাথে তাদের জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছে। শুনেছি, ইউনুছ বেপারীর ছেলেকে মারধর করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী দ্বীন ইসলাম জানান, সালাম বেপারী গং সিন্দুরদী মৌজায় জেএল নং-১০২, আরএস খতিয়ান নং-৬৯, ৩২৭নং দাগে ১ একর জমি নামজারী করে নেন। তারা ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করে ১ একর সম্পত্তি নামজারী করে। কয়েক মাস আগে মিসকেস করা হলে উপজেলা ভূমি অফিস আমাদের নামে ডিগ্রী জারি করে। এ নিয়ে সালাম গং আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। গত রবিবার কুকুটিয়া ভূমি অফিসে গেলে আলোচনা শুরু হলে উপস্থিত সালাম বেপারী গং ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে আহত করেন।
এ বিষয়ে জানতে সালাম বেপারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তার ভাই মিজানুর বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন কিছু হয়নি। আমার বড় ভাই দ্বীন ইসলামের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছিল কিন্তু মারধর করেনি।
এ বিষয়ে কুকুটিয়া ইউনিয়ন উপসহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, তারা জমি-জমার কাগজপত্র নিয়ে এসেছিল। সামান্য উত্তেজনা হয়। উভয়কে থামানো হয়।
সালাম বেপারীদের ওয়ারিশ সনদপত্রের বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানান, তাদের নামজারীটি এসিল্যান্ড অফিস থেকে বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শুনেছি, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ওয়ারিশ সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওয়ারিশ সনদপত্রের আবেদন কপি আমার কাছে রয়েছে। সেখানে সালাম বেপারীরা ৪ ভাই ও ৪ বোনের নাম রয়েছে। ওয়ারিশ সনদের মূল কপিতে ওয়ারিশদের তাই থাকার কথা। তারা যদি কোন কারণে বাদ দিয়ে থাকে তাহলে এটা প্রশ্নবিদ্ধ। আমাদের কোন ভুল নেই। তারপরেও এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শাকিল আহ্মদ জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।