নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে নালিশী সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৪ ডিসেম্বর উপজেলার তন্তর ইউনিয়নের রুসদী মৌজার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠে কুকুটিয়া ইউনিয়নের বাগবাড়ী এলাকার আঃ ওহাব মুন্সীর ছেলে মাহাবুবুল ও হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে উভয়পক্ষ বিজ্ঞ আদালত ও থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী পারভীন সুলতানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুসদী মৌজার সিএস ৫০৭, এসএ ২৫২ আরএস ১২৬ খতিয়ানভুক্ত আরএস ৩৬২নং দাগে ৪৬ শতাংশ সম্পত্তি ভুক্তভোগী বিগত ২০০৭ সালে টুটুল হোসেন সেজালের নিকট থেকে ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে চাষাবাদ করার জন্য ঐ এলাকার মালেক নামের একজন বর্গাচাষীর কাছে বর্গা দেন। পরবর্তীতে বর্গাচাষী মালেক ও তার ভাই আঃ ওহাব মুন্সী সম্পত্তির মালিক দাবি করে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করা টুটুল হোসেন সেজালের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। নিম্ন আদালত উক্ত মামলা খারিজ করে দিলে মালেক গং উচ্চ আদালতে আপিল করলে উচ্চ আদালতে বিবাদীর অনপুস্থিতি মালেক গংয়ের পক্ষের প্রতি একটি রায় দেন। এই রায় নিয়ে মালেক গং ভুক্তভোগীর ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শুকুর মুন্সী সোহেল গংয়ের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-২৭২/২২ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় মাহবুবুল ও হাবিবুর গং গত ৪ ডিসেম্বর নালিশী সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের উদ্দেশ্য জমির সীমানার খুঁটি তুলে ফেলে চাষাবাদ করার চেষ্টা করেন। এতে বাদীর ভাই বুলু সেজাল বাঁধা দিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ মারধর করতে তেড়ে আসে। তার ডাকচিৎকারে আশপাশের স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
শ্রীনগর থানার এসআই প্রবাস কুমার বসু বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হয়েছিল। পরে দুইপক্ষকে ডাকা হয়েছে কেউ আসেনি। একপক্ষ হাবিবুর কোর্টে মামলা করেছে, বর্তমানে মামলা চলমান।
শ্রীনগরে নালিশী সম্পত্তি দখলের অভিযোগ
আগের পোস্ট