নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বেলতলীতে কেসি রোড সংলগ্ন দৃশ্যমান সরকারি খালের জায়গা ও একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। রাতের আঁধারে ড্রাম ট্রাকে করে বালু এনে ভরাট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেলতলী জোড়া সেতুর প্রায় দেড়শত মিটার উত্তর দিকে সড়কটির পশ্চিম পাশে খালসহ পুকুরটি ভরাটের জন্য বালু ফেলা হচ্ছে। শ্রীনগর সদর এলাকার ধাইসারের আজিজ মোল্লা ও নিমতলা এলাকার প্রিন্স মোল্লা জায়গাটি ভরাট করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেলতলী রওজাতুল কোরআন মাদ্রাসার পাশে কেসি রোড ঘেঁষা দৃশ্যমান খালটির অবস্থান। অথচ খালসহ পশ্চিম দিকে একটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। এসময় সংশ্লিষ্ট ভরাটকারী কাউকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, বেলতলী থেকে কেসি রোডের পশ্চিম পাশ দিয়ে খালটি বীরতারা বাজারের দিকে গেছে। এদিকে বিস্তীর্ণ কৃষিজমির পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি গুরুত্বপূর্ণ। খালটির বিভিন্ন স্থানে দখল ও ভরাটের কারণে দিনদিন পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে হাজার হাজার হেক্টর কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।
এলাকাবাসী জানায়, পিন্স মোল্লা গং খালের জায়গাটি ভরাট করছেন। ভরাট বাণিজ্যে ড্রাম ট্রাকের ওভারলোডিংয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কের ক্ষতিসাধন করা হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, যদি এভাবে সরকারি খাল ও সড়কের নয়নজুলী ও ভোবা-জলাশয় ভরাট হতে থাকে তাহলে এই অঞ্চলে কৃষি আবাদ হুমকির মুখে পড়বে। জলাবদ্ধতায় জমিতে ফসল উৎপাদন কমে যাবে। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ খাল ও পানি নিষ্কাশনের জায়গা দখলমুক্ত ও ভরাট বাণিজ্য বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে প্রিন্স মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবী করেন, এখানে খালের কোন রেকর্ড নেই। ভরাটের দায়িত্ব তিনি নেননি। জায়গাটি আজিজ মোল্লা ভরাট করছেন। আজিজ মোল্লার মোবাইল নম্বর চাইলে তিনি দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জানতে অজিজ মোল্লার সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জোবায়ের হাবিব জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।