নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রীনগর থেকে দোহার যাওয়ার পথে আড়িয়ল বিলের এই ইটের রাস্তাটির বেহাল দশা বিরাজ করছে। এই ইটের রাস্তাটির সংস্কারের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী। ইটের রাস্তাটি যেন আর সিসি ঢালাইয়ে পাকাকরণ করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই ইটের রাস্তাটিতে অনেক স্থানে ইট উঠে গেছে বলে গ্রামবাসী অভিযোগ তুলে ধরেছে। শ্রীনগর থেকে দোহার যাওয়ার পথে রাঢ়ীখাল মাদ্রাসার পূর্বপাশ দিয়ে উত্তর দিকে যে রাস্তাটি আড়িয়ল বিলের দিকে চলে গেছে সেই কাঁচা ও ইটের রাস্তাটি বর্তমানে অবহেলিত রাস্তা হিসেবে সকলের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এ পথে চলাচলে একমাত্র এই রাস্তাটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি সংস্কার না করায় এ পথে মানুষের চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। কাঁচা ও ইটের এ রাস্তাটিতে ইতোমধ্যে ইট অনেক জায়গাতেই উঠে গেছে। তাতে রাস্তাটির বর্তমানে বেহাল দশা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে এ রাস্তার দুই পার্শ্বে প্রচুর বাড়িঘর গড়ে উঠেছে বসতি করার লক্ষ্যে। তাতে রাস্তার দুইদিকে বর্তমানে হাজার হাজার লোকের বসবাসে বাড়িঘর গড়ে তোলা হয়েছে। আর এ রাস্তা দিয়ে উত্তর রাঢ়ীখাল এবং আড়িয়ল বিলে যাওয়ার একমাত্র প্রবেশ পথ হচ্ছে এটি। তাই রাস্তাটি নানা দিক দিয়ে সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অত্র এলাকায় বসতি গড়ে তোলায় এই রাস্তার সাথে চলাচলের সুবিধায় মাঝেমাঝে আরও শাখা রাস্তাও সংযোজিত হয়েছে অনেকগুলো। শ্রীনগরের আনাচে কানাচে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে ইতোপূর্বে রাস্তাঘাটের কোন নাম নিশানা ছিলনা। এরইমধ্যে এমন সব জায়গায়ও নতুন নতুন রাস্তা করা হয়েছে। কিন্তু অনেক প্রাচীন এবং অতি পরিচিত এই রাস্তাটির কোন সংস্কার করা হচ্ছে না। এই একটিমাত্র রাস্তা দিয়ে এই এলাকার হাজার হাজার লোক প্রতিদিন চলাফেরা করছে অনেকটাই কষ্ট করে। এক সময়ের কাক ডাকা ভোরে আড়িয়ল বিলের ডাঙ্গায় কতো বড় বড় মাছ ঘোড়ার পিঠে করে এই রাস্তা দিয়েই দেশের দূর দূরান্তে নিয়ে যেতো জেলেরা বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। তাতে এ সময়ে কাফেলায় বিশ পঁচিশটি করে ঘোড়া থাকতো। এমন দৃশ্য চোখে পড়তে সেই সময়ে। তাছাড়া আড়িয়ল বিলের যতো শস্য উৎপাদন ও শস্য উত্তোলনের দিনে এ পথ দিয়ে মজুররা ও লোকজনরা আড়িয়ল বিলে আসা যাওয়া করে থাকে সবসময়ে। এছাড়া অন্যান্য কাজেকর্মেও লোকজনরা আসা যাওয়া করে থাকে এ পথ দিয়ে। এসব নানা কারণে সকলের কাছে এ রাস্তাটি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি রাস্তা।
প্রচুর শিকারীর দল পাখি শিকার করার জন্য এই পথ ধরে আড়িয়ল বিলে যাওয়া আসা করে শীত মৌসুমে। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক দুই কিলোমিটারের মতো বলে দাবি করছে গ্রামবাসী। এ রাস্তাটি অনেকটাই সরু। তাই রাস্তাটি প্রশস্ত করা প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। রাস্তাটিতে ইট উঠিয়ে বর্তমানে পাকাকরণের জোর দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।
এই রাস্তার পাশেই বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি পাকিজা শাড়ি লুঙ্গি কোম্পানির বাড়ি রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বর্তমান রাস্তাটিতে আনুমানিক ১৫ বছর আগে এখানে ইট বিছানো হয়েছে। কিন্তু এরপর আর কখনো এ রাস্তাটির সংস্কার করানো হয়নি বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেছে। বর্তমানে এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পণ্যবাহী ছোট ছোট ট্রাক হলে যেকোন সময় এখানে অঘটন ঘটার সম্ভাবনার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।