নিজস্ব প্রতিবেদক : বার্ড বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট ও পাখি বিশেষজ্ঞ সাজাহান সরদার বলেছেন, প্রাকৃতিক কারণ ও মানবসৃষ্ট কারণে দিন দিন পাখিদের আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে। আমাদের পূর্ব ধারণা ছিল, বিশ্বে ৬৫০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় বিভিন্ন পর্যায়ে পাখি ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৭ শতাধিক প্রজাতির পাখি রয়েছে এই বিশ্বে। কিন্তু দিন দিন তার সংখ্যা কমছে আর শহরকেন্দ্রিক পাখিদের আবাসস্থল একবারে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জ শহরের সরদারপাড়া এলাকায় নিঃসর্গ অঙ্গনে বার্ড বাংলাদেশ আয়োজিত দ্বিতীয় জাতীয় পাখি পর্যবেক্ষক সম্মেলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এখন দিন দিন কমছে পাখির প্রজাতির সংখ্যাও। আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগে যে পাখিগুলো দেখেছি, এখন সে পাখি দেখা যাচ্ছে না। আবার অনেক পাখি দেখা যাচ্ছে, যাদেরকে আগে দেখিনি। আবাসন সংকুচিত ও আবাসন পরিবর্তিত হওয়ায় পাখিদের সংখ্যাও ক্রমশই কমছে। গ্রামীণ ঝোপ-জঙ্গল কমছে। আমাদের দেশীয় পাখির সবচাইতে বড় আবাসন হচ্ছে দেশীয় ঝোপ-জঙ্গল ও গ্রামীণ জলাশয়। শহরকেন্দ্রিক পাখিদের আবাসস্থল একেবারে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এতে করে পাখিদের ভুবন ছোট হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
এর আগে মুন্সীগঞ্জ শহরের সরদারপাড়া নিঃসর্গ অঙ্গনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পাখি পর্যবেক্ষক সম্মেলন উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক আহমেদ। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার সামসুল আলম সরকার ও চট্টগ্রাম সার্কেলের বন সংরক্ষক ড. মোল্লা রেজাউল করিম।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই চলে নানা কর্মযজ্ঞ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সংগঠনের লোকজন এতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত প্রকাশ করেন। সবশেষে পাখি পর্যবেক্ষণ এবং নদীপথে দেশীয় ও বিদেশী পাখি দেখার মধ্য দিয়ে শেষ হয় জাতীয় পাখি পর্যবেক্ষণ সম্মেলন।
শহরকেন্দ্রিক পাখিদের আবাসস্থল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে — বার্ড বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট সাজাহান সরদার
আগের পোস্ট