নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সাতঘড়িয়া এলাকায় ঈদের পরদিন প্রতিপক্ষের হামলায় এম এ বাকার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে তৌনিক শশীনূর যুথী বাদী হয়ে সাতঘড়িয়া গ্রামের শেখ তোফায়েল আহম্মেদ জামাল, মোঃ ফয়সাল ওরফে বাবু ও কামাল শেখ নামের তিনজনকে আসামী করে লৌহজং থানায় হত্যা মামলা রুজু করেছেন। ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, আসামীরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার বাদী তৌনিক শশীনূর যুথী বলেন, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মোহরপাড়া এলাকার বাসিন্দা এম. এ বাকার জীবিকার তাগিদে পরিবারকে নিয়ে লৌহজং উপজেলার সাতঘড়িয়ায় বসবাস করেন। সেখানে বসবাস করার সময় তার স্ত্রী রওশন আরার সঙ্গে একই গ্রামের শেখ তোফায়েল আহাম্মেদ জামালের ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে তোফায়েল আহম্মেদ আমাকে ভয় দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে ও জোরপূর্বক বিয়ে করার কথা বলে কাবিননামায় স্বাক্ষর নিয়ে বিভিন্নভাবে বিরক্ত করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের পরদিন মঙ্গলবার ১ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে শ্রীনগর যাওয়ার পথে লৌহজং উপজেলার সাতঘড়িয়া মঞ্জুর কাদের মৃধার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় পৌঁছলে আমাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে তোফায়েল গং। এসময় তারা আমার বাবা এম এ বাকারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এতে আমি ও আমার বোন পাঁপড়ি তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করি। একপর্যায়ে তারা বাবাকে এলোপাথারিভাবে আঘাত করতে থাকে। এতে আমার বাবা গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লৌহজং থানার ওসি মোঃ হারুন অর রশীদ বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে শুনেছি। এসময় গুরুতর আহত এম এ বাকার নামে এক ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নিহত বাকারের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তারা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তারে বিলম্ব হচ্ছে।