নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার খালে নাগেরহাট বাজার অংশে খালের উপর নির্মাণাধীন অবৈধ খাল নতুন করে দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে পুরাতন দখল বিদ্যমান রয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নেছার উদ্দিনের নেতৃত্বে এসব দোকানঘর উচ্ছেদ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও মোঃ নেছার উদ্দিন বলেন, শনিবার বিকেলে খালের উপর নির্মাণাধীন দোকানঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসময় তিনি জানান, পুরাতনগুলো খুব শীঘ্রই উচ্ছেদ অভিযান করা হবে।
জানা যায়, উপজেলার কনকসার খালে দুই-এক বছর আগের দোকান ও বাড়ি কোনদিন উচ্ছেদ করা হয়নি; শুধুমাত্র নতুন করে নাগেরহাট বাজার এলাকায় সড়কের পাশে সরকারি খালের উপর আল-আমীন ও তানভীর নামে দুই ব্যক্তি দুটি স্থানে কংক্রিটের খুঁটি ও টিন, কাঠ দিয়ে নতুন ১১টির মতো দোকান০ঘর নির্মাণ করছিলেন।
সকল দখলদারদের হাত থেকে খালটি উদ্ধার করে খনন করে পানি চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, একসময় খালটি প্রবাহমান ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। এক যুগ আগেও এ খাল দিয়ে নৌকা চলতো। অনেক জেলে এ খাল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো। এখন আর দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এখান দিয়ে খাল প্রবাহিত হয়েছিল। সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা নদীর শাখা নদী কনকসার-সিংহেরহাটি-নাগেরহাট খাল নামে পরিচিত। এটি পদ্মা নদী থেকে লৌহজং মাওয়া প্রধান সড়কের কনকসার সেতুর নিচ দিয়ে সড়কের পাশ ঘেঁষা বেজগাঁও শ্রীনগর খালের সঙ্গে প্রবাহিত হয়েছে। নাগেরহাট বাজারের দক্ষিণ দিকে খালের উপর কয়েকটি দোকানঘর নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে। কনকসার অংশে সেতু সংলগ্ন উত্তর দিকে খালের উপর বসতঘর ও দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে খালটি উৎসমুখে ভরাট করে বসতঘর ও দোকান নির্মাণ করায় এখন মরা খালে রূপান্তরিত হয়েছে।
লৌহজংয়ে খালের নতুন দখল উচ্ছেদ, পুরাতন দখল বিদ্যমান
আগের পোস্ট