নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের ঐতিহ্য ক্ষেদেরপাড়া গাংচিল বাসস্ট্যান্ডের মাঠে অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। হাট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। সাধ্যের মধ্যে পছন্দের কোরবানির পশুটি ক্রয় করে নিচ্ছেন ক্রেতারা। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোরবানির পশুর দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়াসহ মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে কোরবানির পশু গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া নিয়ে এসেছেন খামারি ব্যাপারীরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পশু পালনে খরচ বেশি বলে জানান তারা।
গতকাল সোমবার ক্ষেদেরপাড়া অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের ও সাইজের পশু রয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সমাগম খুব বেশি দেখা গেছে।
গত বছর ঈদের আগের দিন গরু কিনবে বলে ভোগান্তিতে পড়েছিলেন বলে জানান মো. আব্দুল রহিম। তিনি বলেন, গত বছর ভেবেছিলাম ঈদের আগের দিন পশুর দাম কম হবে, কিন্তু হাটে গিয়ে তার উল্টো পেয়েছি। তাই এ বছর আগেই পশু কিনতে চলে এসেছি। কয়েকটা গরু দেখেছি, দাম দর হয়েছে। আর কিছু সময় দেখে একটা কিনে নিয়ে যাবো।
আরেকজন ক্রেতা মো. বিল্লাল বেপারী বলেন, আজকে কোরবানির পশু দেখতে এসেছি। আগামীকাল ছেলে ঢাকা থেকে গ্রামে আসলে কাল কিনবে।
তবে অনেকেই বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর হাটে কোরবানির পশুর দাম অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে।
লৌহজং ক্ষেদেরপাড়া অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদার মো. ফয়সাল শিকদার জানান, অনেক ক্রেতা-বিক্রেতারা আসছেন, বেচাকেনা হচ্ছে। আমরা আমাদের মত খুব সুন্দর ব্যবস্থা নিয়ে হাট গড়ে তুলেছি। ক্রেতাদের জন্য যথেষ্ট উন্নত সেবার জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়া আছে। টাকা লেনদেনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাহায্য সহযোগিতায় আমরা প্রস্তুত।
ক্ষেদেরপাড়া হাট কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের ঐতিহ্য এ হাট সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও যথেষ্ট স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে পরিচালিত। এখানে সবরকম সুযোগ-সুবিধা ক্রেতা ও বিক্রেতার জন্য আছে। এছাড়া যেকোন ক্রেতা তার ইচ্ছানুযায়ী পশু ক্রয় করতে পারবেন। লেনদেনে যথেষ্ট আধুনিক সুবিধা আছে।
লৌহজংয়ে ক্ষেদেরপাড়া কোরবানির পশুর হাটে উপচে পড়া ভীড়
আগের পোস্ট