মোঃ রুবেল : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের পানহাটা এলাকায় দুই দফায় বিএনপি সমর্থকের উপর সংঘবদ্ধ হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিএনপি সমর্থক মোঃ সোহেল বেপারী বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মোট ৮ জন নামীয় আসামির পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, গত ৪ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১টা ৫০ মিনিটে পাঁচবাড়ী জামে মসজিদের সামনে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাদী মোঃ সোহেল বেপারীর ওপর একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সিদ্দিক তালুকদার নামে একজন আসামী “শালারে শেষ করে দে” বলে নির্দেশ দিলে বাকি আসামিরা লাঠি, রড ও ঘুষি-লাথি দিয়ে বাদীর ওপর নির্যাতন চালায়। এসময় বাদীর বাম চোখে গুরুতর আঘাত ও ডান হাতে রডের আঘাতে মারাত্মক জখম হয়। এছাড়াও গলায় চেপে ধরার মাধ্যমে তাকে হত্যা করার চেষ্টাও করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
হামলার সময় বাদীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। আহত অবস্থায় তাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার পরদিন, ৫ এপ্রিল শনিবার সকালে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় একটি সালিশ বৈঠক বসে সাক্ষী রাসেল মোল্লার বাড়িতে। তবে অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা সালিশ অমান্য করে দ্বিতীয়বার বাদীর ওপর হামলা চালায় এবং পুনরায় খুনের হুমকি দেয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু এবং একাধিক মামলার আসামি। বাদী আদালতের নিকট মামলা আমলে নেওয়া ও আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান।
মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সিদ্দিক তালুকদারের ছেলে জনি তালুকদার বলেন, বাদামতলী ফল ব্যবসার সুবাদে সোহেল বেপারীর কাছে টাকা পাই। পাওনা টাকা দিতে বললে এলোমেলো কথা বলেন। আমার বাবার সাথেও খারাপ আচরণ করেন। এছাড়াও আমাদের সবার সাথেই খারাপ ব্যবহার করেছেন। বিএনপি করে সেটারও প্রভাব দেখান তিনি।