নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ৩০ বছরেও মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সড়কটিতে হয়নি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। স্থানীয় লোকজন বহু বছর ধরে জরুরি প্রয়োজনে শহর, হাটবাজার কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করে ইটের রাস্তা দিয়ে। রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এখন চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ইউনিয়নটির অন্যান্য সড়কগুলোতেও ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ী উপজেলা থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে পদ্মানদীর তীর ঘেঁষে এই ইউনিয়নটির অবস্থান। পদ্মার নিকটে হওয়ায় বহু গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইউনিয়নটিতে ১৬টি গ্রামে প্রায় ২৩ হাজার লোকের বসবাস। এই ইউনিয়ন থেকে উপজেলা কিংবা অন্যত্র যাতায়াত ব্যবস্থা অনেকটা নাজুক। প্রায় ৩০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয় কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি। সেই সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাতায়াতে ব্যবহার হতো কাঁচা মাটির সড়ক। পরবর্তী সময়ে রাস্তাটিতে ইট বিছানো হয়। এই রাস্তাটি হলো ইউনিয়ন পরিষদে কার্যালয়ে যাওয়ার প্রধান সড়ক। পাশাপাশি নশংকর, আদাবারি, বাইনখারা হয়ে হাসাইল যাওয়ার জন্যও রাস্তাটি ব্যবহার করে এলাকার লোকজন। দীর্ঘদিনে রাস্তাটি সংস্কার না করায় এখন রাস্তাটি যান চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। ইজি বাইক, মিশুক, রিক্সাসহ অন্যান্য ভারি যানবাহন চলাচল এবং বর্ষার অতি বৃষ্টির কারণে ইটের এই সড়কটি মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ইট সরে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন ও সাধারন মানুষের নিত্যদিনের পথচলা। এছাড়াও ইউনিয়নটির অন্যান্য প্রধান প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কামারখাড়া বাজারে যাওয়ার পথে সড়টির একটি অংশ পুকুরে বিলীন হয়ে গেছে। সেখানেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বহু যানবাহন। বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার কবলে পড়ে এরুটে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহনগুলো। অন্যদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি এবং পদ্মার স্রোতের তোড়ে প্রায় দেড় মাস পূর্বে ধসে পড়ে আবাদাবাড়ী, বাইনখারা এলাকার দুটি ব্রিজের সংযোগ সড়ক। পাশাপাশি ভাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে প্রধান সড়ক। দুটি ব্রিজের সংযোগ সড়ক সংস্কার না করা এবং ভেঙে যাওয়া রাস্তাগুলো মেরামত না হওয়ায় এখনও বন্ধ রয়েছে কামারখাড়া টু হাসাইল সড়কের যানবাহন চলাচল। সেখানে বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলাচল করছে স্থানীয়রা। ফলে দীর্ঘসময় ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ইউনিয়নটির হাজারো মানুষ। দ্রুত সময়ে কামারখাড়া সড়কসহ পুরো এলাকার রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মহিউদ্দিন হালদার বলেন, ইউনিয়নটির যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা নাজুক। ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াতের প্রধান সড়কটিও দীর্ঘদিনে আধুনিকায়ন হয়নি। দ্রুত এলাকার রাস্তাটি উন্নয়নের দাবি জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জে দীর্ঘ ৩০ বছরেও উন্নত হয়নি কামারখাড়া ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা
আগের পোস্ট