নিজস্ব প্রতিবেদক
২ শত বছর যাবৎ পাতক্ষীর তৈরি করছেন সিরাজদিখানের ঘোষ পরিবার। আদি বিক্রমপুর তথা বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার সন্তোষপাড়া গ্রামে তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত পাতক্ষীর। জনৈক পুলিনবিহারী দেব তার স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় ২ শত বছর আগে পাতক্ষীর তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার উত্তরসূরীরা এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন। বর্তমানে সিরাজদিখানের সন্তোষপাড়া গ্রামে এটি তৈরি করা হয়। শুধু গাভীর দুধ দিয়ে তৈরি পাতক্ষীর নামের এ সুস্বাদু খাবারের চাহিদা রয়েছে বিশ্বের বহু দেশে। তারমধ্যে অন্যতম আমেরিকা, কানাডা, ইতালি, ভারত। প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ পাতক্ষীর একমাত্র মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রসুনিয়া ইউনিয়নের সন্তোষপাড়া গ্রামের ঘোষবাড়িতে তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ ধরনের এই মুখরোচক খাবারের উপস্থিতি নানা উৎসবে না থাকলে যেন অসম্পূর্ণই থাকে সে উৎসব। এই ক্ষীরের নামকরণও করা হয়েছে এর তৈরির উপর ভিত্তি করে। গাভীর দুধ থেকে ক্ষীর তৈরি আর কলাপাতায় ক্ষীর রাখা হয় বলে এর নামকরণ করা হয়েছে পাতক্ষীর। প্রায় সাতপুরুষ ধরে পাতক্ষীর তৈরি করে আসছেন ঘোষ পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘদিন ধরে পাতক্ষীর ব্যবসায় এ পরিবারের সদস্যরা বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। সিরাজদিখান বাজারের রাজলক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের পরিচালক খোকন চন্দ্র ঘোষ বলেন, কূটনৈতিকদের মেহমানদারি করার জন্য বঙ্গভবনের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তার কাছ থেকে পাতক্ষীর নেয়া হয় এবং পহেলা বৈশাখে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও নেয়া হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশেও পাঠানো হয় এই পাতক্ষীর।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত পাতক্ষীর
আগের পোস্ট