পহেলা বৈশাখ বরণে প্রস্তুত মুন্সীগঞ্জবাসী

কাজী সাব্বির আহমেদ দীপু : আজ সোমবার পহেলা বৈশাখ। চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে গতকাল রোববার ১৪৩১ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ যুক্ত হলো নতুন বছর ১৪৩২। জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করলো বাঙালি জাতি।
আজ পহেলা বৈশাখের বর্ণিল উৎসবে সারাদেশের ন্যায় মাতবে মুন্সীগঞ্জবাসীও। তাই মুন্সীগঞ্জ জেলা জুড়ে থাকছে বাংলা বর্ষবরণের নানা আয়োজন। পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষকে সাজাতে এবং উৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজনের মধ্যে শুধু পান্তা ইলিশই নয়, ঘরে ঘরে চলে পোলাও-কোরমা রান্না, কেনা-কাটা ও আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করে খাওয়ানোর নানা প্রস্তুতি। এছাড়াও গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন মেলায় দোকানী এবং গ্রামীণ খেলাধুলার নানা প্রস্তুতি যেন মনে করিয়ে দেয় এইতো বৈশাখ এসে গেল। বৈশাখের এসব আয়োজন করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন। বৈশাখের আগেই প্রস্তুত নববর্ষ বরণের নানা সরঞ্জামাদি ও মেলার পসড়া। পহেলা বৈশাখের ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে উঠবে মুন্সীগঞ্জ। দিনব্যাপী বর্ষবরণের উৎসব আমেজে মুখরিত থাকবে মুন্সীগঞ্জের আপামর জনগণ। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে বাঙালি মিলিত হবে তার সার্বজনীন এই অসাম্প্রদায়িক উৎসবে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও জেলা শিশু একাডেমি নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে।
জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত জানান, পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বের করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে পুরাতন কাচারী হয়ে সুপার মার্কেট ও জুবলী সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে গিয়ে শেষ হবে। সকাল ৮টায় দিনব্যাপী শোকজ মেলা, সকাল ৯টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ, সুবিধাজনক সময়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নববর্ষ উদযাপন, জেলা কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) ঐতিহ্যবাহী বাঙালী খাবারের আয়োজন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত মেলা উপলক্ষে মাটির হাড়ি-পাতিল, বিভিন্ন খেলনা যেমন- বাঘ, হরিণ, গরু, ঘোড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন পশু-পাখি, ফুলের টব, রকমারি পুতুল তৈরি হয়ে গেছে। বৈশাখের এসব অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালনের লক্ষ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ শামসুল আলম সরকার।