নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশে যখন সকল কার্যক্রম স্থবির, প্রায় এমনই পরিস্থিতির মধ্যেই নিয়মিত এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ যজ্ঞ। এর ধারবাহিতকায় আজ সোমবার (৪ই মে) সেতুর মুন্সীগঞ্জ প্রান্তে ১৯ ও ২০নং পিয়ারে বসানো হবে ২৮তম স্প্যান ‘৪-এ’। এতে দৃশ্যমান হতে চলেছে সেতুর ৪ হাজার ৩৫০ মিটার অংশ। ২৮ তম স্প্যান বসানোর ২৩ দিনের মাথায় ২৯ তম স্প্যানটি বসানো হবে। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মোঃ আব্দুল কাদের মুন্সীগঞ্জের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার সকাল ৮টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান-ই’ ভাসমান ক্রেনে স্প্যানটি নির্ধারিত ২টি পিলারের কাছে নোঙর করে রাখা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সোমবার সকালে স্প্যানটি বসানোর কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে এরমধ্যেই মূল সেতুর ৪২টি পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। গত ১ এপ্রিল পিয়ার ২৬ তৈরি মধ্য দিয়ে মূল সেতুর পিয়ার তৈরির কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়। আর গত ১১ এপ্রিল সর্বশেষ বসানো হয় ২৮ তম স্প্যান ‘৪-বি’।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ২৭টি স্প্যান। প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়া হবে।
পদ্মা সেতুর ২৯তম স্প্যান বসছে আজ
আগের পোস্ট