নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জমি দখল করে সেখানে মাটি ফেলে ভরাট করে নিয়েছে হামিদ গাজী। এই নিয়ে জমির মালিক মফিজুল হক মল্লিক ও হামিদ গাজীর মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। যেকোন সময় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হামিদ গাজীও দাবি করেছেন তিনি জমির প্রকৃত মালিক। স্থানীয়রা জানান, গত ১০ বছর আগে পশ্চিম মাকহাটি গ্রামের মৃত রহমান খালাসীর দুই ছেলে তোতা খালাসী, ভুলু খালাসী এবং তিন মেয়ে আশুদা বেগম, আমেনা বেগম ও তাছলিমা বেগমের কাছ থেকে মাকহাটি গ্রামের মৃত হাজী মো. সোলেমান মল্লিকের ছেলে মফিজুল হক মল্লিক জমি ক্রয় করেন। এরপর মফিজুল হক মল্লিক জমির কিছু অংশ ভরাট করে বাড়ির কাজ এবং ঘর তৈরি করেন। আলদী মৌজার ২৮৭নং খতিয়ানের ৪৭৩ দাগে তোতা খালাসী গংয়ের কাছ থেকে নাদাবি নামা দলিলের মাধ্যমে কিনে নেয়া ১২ শতাংশ ২৫ পয়েন্ট জমির মধ্যে সাড়ে তিন শতাংশ জমি নিয়ে শুরু হয় বিরোধ। মফিজুল মল্লিকের ক্রয় করা জমির মধ্যে হামিদ গাজী সাড়ে ৩ শতাংশ তোতা খালাসীর কাছ থেকে ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেন এবং জমি ভরাট কাজে হাত দেয়। জমি ক্রয় করার পরই মফিজুল হক মল্লিক তার নামে নামজারি এবং ভূমি কর পরিশোধ করেন। এই ব্যাপারে স্থানীয়রাও জানান, এই জমি মফিজুল হক মল্লিক তোতা খালাসী গংয়ের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন। এ ব্যাপারে হামিদ গাজী জানান, এই জমি তার। তিনি তোতা খালাসীর কাছ থেকে দলিলের মাধ্যমে ক্রয় করেছেন। মফিজুল হক মল্লিক জানান, তিনি সঠিকভাবে জমি ক্রয় করেছেন। হঠাৎ আলদীর হামিদ গাজী তোতা খালাসী অংশের সাড়ে ৩ শতাংশ জমি দাবি করে ভরাট করে। এতে বাঁধা দিলে হত্যার হুমকি দেয়। এখন তার ভয়ে জমিতে যেতে পারছিনা।