নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের জের ধরে চুরির অপবাদ দিয়ে তার ভাইকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভুক্তভোগীর ভাই (২০) মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাত ৪টার দিকে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে মারা যায় সে। নিহত যুবক উপজেলার আব্দুল্লাপুর এলাকার বাসিন্দা। এর আগে, গত শনিবার রাতে আব্দুল্লাপুর এলাকায় চুরির অপবাদ দিয়ে তাকে মারধরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আব্দুল্লাপুর এলাকায় ওই মাদ্রাসাছাত্রী একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে স্থানীয় বাবুল মিয়ার ছেলে ফাহিম, আফসার চৌধুরীর ছেলে সামি ও হাসান মিয়ার ছেলে হাবিবুরের বিরুদ্ধে টঙ্গীবাড়ী থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত ফাহিম ও হাবিবুর বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। অপর আসামি ধর্ষণের সহযোগী সামি জামিনে আছেন। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের উপর অভিযুক্তদের ক্ষোভ ছিল। গত শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর ভাই অভিযুক্ত প্রতিবেশী সামিদের বাড়ির উপর দিয়ে আসছিল। এসময় তাকে ধরে চুরির অপবাদ দিয়ে অভিযুক্ত সামির ফুপা বাচ্চু কোতয়াল (৫৫), বাবা হাসান (৫০) ও হাসানের স্ত্রী (৩৫) ব্যাপক মারধর করে। এতে অপমান সহ্য করতে না পেরে পরদিন রবিবার কীটনাশক পান করে সে। তাকে দ্রুত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে সেখান থেকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই রাত ৪টার দিকে মারা যায় সে। টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, ধর্ষণের বিষয়ে মামলা আদালতে চলমান আছে। দুজন অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ছাত্রীর ভাইয়ের কীটনাশক পানে মৃত্যুর ঘটনাটি পরিবার সূত্রে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।