নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বালুয়াকান্দি বড় রায়পাড়া গ্রামে বাদী ও বিবাদীর ৮ বছরের দুই ছেলে পরস্পরের চর থাপ্পরকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে গত ৩ এপ্রিল ২০২০ মারামারির ঘটনা ঘটেছে। একই ঘটনায় বাদী কাজল আক্তার হাতে ও মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। আহত কাজল আক্তার বাদী হয়ে একই গ্রামের সাবেক নানিফ মেম্বারের ছেলে আক্তার হাসান, সুমি ও সোহাগিসহ ১০ জনকে আসামী করে গজারিয়া থানায় মামলা করেছে। গত মঙ্গলবার ২৬ মে বিকালে বড় রায়পারা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গ্রাম্য সালিশে আসামি আক্তার হোসেন এর পরিবারকে জোরপূর্বকভাবে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করে রায় মেনে নিতে বাধ্য করেছে। এমন অভিযোগ করে আসামী আক্তার জানান, বাদীপক্ষের মিথ্যা দাবীতে সালিশের মাদবরগণ ঘটনার যাচাই বাছাই না করে জোরপূর্বক আমাকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। আসামি আক্তার হোসেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
বাদী কাজল আক্তার এবং স্বামী রাশেদুল জানান, মামলা করার পর আসামি আক্তার হোসেন গং বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির করে মীমাংসা চেয়ে সালিশে বসেছে। সালিশে কোন জোরপূর্বক কাজ করা হয়নি। সালিশের রায় ঘোষণায় ছিলেন গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব ভূইয়া, সাবেক বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহফুজ মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান বছির উদ্দিন, সাবেক মেম্বার নোয়াব হোসেনসহ আরও অনেকই।
সাবেক মেম্বার মাহফুজ মিয়া জানান, গ্রাম্য সালিশে এত টাকা জরিমানা করার আইন নেই। বাদীপক্ষের চিকিৎসা খরচ এবং মামলা সমাধান করতে এই টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী জানান, গ্রাম্য আদালত এবং গ্রাম্য সালিশ এক বিষয় না। গ্রাম্য সালিশে এত টাকা জরিমানা করার বিধান নেই।
গজারিয়ায় মারামারিকে কেন্দ্র করে হাতে আঘাতের ঘটনায় ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
আগের পোস্ট