নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের লম্বা ছুটির কারণে ব্যস্ত সময় পার করছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া পার্ক বিনোদন কেন্দ্রগুলো। উপজেলার পার্কসহ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। আনন্দে মেতেছেন নানা বয়সী মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে তরুণ-তরুণী, শিশু ও পরিবারসহ ঘুরতে আসা মানুষদের। উপজেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীর সম্মিলন ঘটেছে মেঘনা নদীর পাড়ে। মেঘনা ব্রিজের নিচে নদীর পানি ও প্রচন্ড স্রোত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং জেলেদের ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করতে ভিড় করছে গজারিয়া কুমিল্লা দাউদকান্দি সোনারগাঁও ঢাকা বিভিন্ন এলাকার তরুণ-তরুণী ও দর্শনার্থীরা।
পাশাপাশি দেখা যায়, মেঘনা ভিলেজ রিসোর্টে টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করছে তরুণ-তরুণী ও দর্শনার্থীরা। মনোরম পরিবেশে রিসোর্টের সামনে হাতি, বাঘ, ভাল্লুক এবং গেটে সুন্দর করে মাটি দিয়ে বানিয়ে রাখা হয়েছে। ভিতরে রয়েছে খাঁচায় বানর, বাঘ, ভাল্লুক, হরিণ। ঈদে ঘুরতে আসা মানুষরা সরাসরি দেখতে পারছে। রয়েছে বাহারি ডিজাইনের বাচ্চাদের খেলনা, সুইমিংপুল, বাচ্চাদের খেলনা চরকি, ট্রেন, নৌকাসহ আরো অনেক ধরনের খেলনা। পার্কের সামনে রয়েছে মেলা। সেখানে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকার লোকজন অটোরিক্সা, কেউবা মোটরসাইকেল, আবার কেউ এসেছে প্রাইভেটকার, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস নিয়ে এসেছে। গাড়ির জন্য পার্কের সামনে রয়েছে মাঠ। সেখানে পার্কিং করে গাড়ি রাখা হয় এবং পার্কের সামনে রয়েছে রেস্টুরেন্ট এবং বড় বড় হোটেলে খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে।
ঈদের লম্বা ছুটির কারণে এত ভিড়, ঈদের আনন্দ মানুষের কোলাহল দেখতে অনেক ভালো লাগে।
গজারিয়া উপজেলার কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কাছাকাছি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মেঘনা নদী এবং পার্কে এসেছি। প্রতিদিন ঘরে ৩-৪ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নদীর পানি একসঙ্গে এবং ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন মাছ ধরা, নদীর পানির প্রচন্ড ঢেউ দেখার সুযোগ থাকায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় বলে জানান।