নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নে খাল খনন প্রকল্পে নিয়োজিত ভেঁকু গাড়ির জ্বালানী তেল, ডিজেল, ব্যাটারি, লাইট, মাদারবোর্ড চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শনিবার গভীর রাতে টেঙ্গারচর ইউনিয়নের বৈদ্যারগাঁও গ্রামের ভূইয়া বাড়ি ছোট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে গাড়ি মালিকপক্ষের জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের বাদী জহিরুল ইসলাম জানান, খাল খনন কাজে ভূঁইয়া বাড়ী সংলগ্ন ব্রীজ এলাকায় আসার পর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব মামুন এবং বৈদ্যারগাঁও গ্রামের হারুনুর রশিদের সাথে গাড়ি স্থানান্তর নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সেই কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে গত শনিবার রাতে খালের পাড় রেখে দেয়া ভেঁকু গাড়ি থেকে উল্লেখিত মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
চুরি যাওয়া ২৫০ লিটার ডিজেল ও একটি মাদারবোর্ড, ব্যাটারী, যন্ত্রাংশের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। জহিরুল ইসলাম আরও জানান, এই চুরির ঘটনায় হারুনুর রশিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাল খনন প্রকল্পের ভেঁকু এই এলাকায় নিয়ে আসার বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব মামুন এবং হারুনুর রশিদের সাথে কথা বলে মাসিক ভাড়া ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, একাউন্টের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে ভেঁকু নিয়ে আসি। খাল খনন প্রকল্পের মূল ঠিকাদার কে তা জানা নেই। বিষয়টি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব মামুন জানেন।
অভিযুক্ত হারুনুর রশিদ বৈদ্যারগাঁও গ্রামের রমজান আলী খানের ছেলে জানান, ভেঁকু গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির বিষয়ে তিনি অবগত নন।
উপজেলা বিএডিসি কর্মকর্তা খাল খনন প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রক ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব মামুন জানান, এই খাল খনন প্রকল্পে মূল ঠিকাদার এবি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। ঠিকাদারের মোবাইল নাম্বার পরে জানানো হবে। ভেঁকু গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির বিষয়ে আমি কিভাবে জানব? ভেঁকু গাড়ি পাহারা দেয়া আমার কাজ নয়। আমি দেখবো খাল খনন প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে করা হচ্ছে কি না।
গজারিয়ায় খাল খনন প্রকল্পের ভেঁকু গাড়ির তেলসহ মালামাল চুরি
আগের পোস্ট