নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় আশঙ্কাজনক হারে নামছে পানির স্তর। জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরে দেখছি শুষ্ক মৌসুমে গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় অগভীর নলকূপে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম পানি ওঠে। কিছু কিছু নলকূপে একেবারেই পানি ওঠে না। স্থানীয়দের দাবি, বর্ষা মৌসুমে এসব নলকূপ দিয়ে পানি উঠলেও শুষ্ক মৌসুম আসলেই পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যায়। এর কারণ অস্বাভাবিক হারে নিচে নেমে যাচ্ছে গজরিয়ার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর।
বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে নলকূপ ও মটর দিয়ে পানি উঠানো সম্ভব হয় না। কারণ নিচের স্তরে পানি নেই। কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা বিকল্প রাস্তা খুঁজছে।
মোঃ জহিরুল হক খান রিটু বলেন, নলকূপ, মটর দিয়ে পানি উঠাতে পারছি না। কোন কারণও খুঁজে পাচ্ছি না। এ থেকে কিভাবে রক্ষা পাব তা আমি জানি না, আল্লাহর উপর ভরসা।
নয়ন বলেন, আমারও নলকূপ দিয়ে পানি উঠাতে পারছি না তাই পানির জন্য খুব কষ্ট করছি মনে হচ্ছে নিচের স্তরে পানি নেই তার জন্য পানি ওঠেনা
স্বাভাবিক অবস্থায় মাটির ৬ থেকে ৭ ফুট নিচেই ভূগর্ভস্থ উৎসে পানি পাওয়ার কথা। কিন্তু সে অবস্থা এখন আর নেই। ঢাকায় পানি পেতে ৮০০-৮৫০ ফুট বা তারও বেশি নিচে নামতে হচ্ছে। খুলনায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গেছে ২৫-৩০ ফুট। রাজশাহী ও বরেন্দ্র অঞ্চলে ১২০-১৪০ ফুট নিচে নেমেছে। ঢাকার আশেপাশের কিছু জেলা যেমন নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জে পানির স্তর নিচে নামছে আশঙ্কাজনক হারে।
এর প্রধান কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব। পাশাপাশি জলাশয় ভরাট, ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের মত আরো কিছু মানব সৃষ্ট কারণও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনই সময় মাথা ঘামানোর। সমস্যাটির গভীরে যেতে এ বিষয়ে গবেষণা প্রয়োজন। প্রকৌশলী এবং পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বাস্তব এবং সময়োপযোগী সমাধান খুঁজে বের করার এখনই সময়।