নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা আবারো ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে। একদিকে প্রচন্ড তাপদাহ অন্যদিকে লোডশেডিং। জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন থেকেই রাত-দিন দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা।
জানা যায়, উপজেলা জুড়ে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা জুড়ে পল্লী বিদ্যুতের ছয়টি সাব-স্টেশন রয়েছে। গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সর্বমোট ২২টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়েছে। আর এসব ফিডারের মাধ্যমে সকল গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে উপজেলায় বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। দিন রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। একদিকে প্রচন্ড তাপদাহ, ভ্যাপসা গরম আবার সেইসঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং। এর ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি ভবেরচর এলাকায় দুপুর ২টা থেকে রাতে ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দূর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকেরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ইব্রাহিম, শরীফ, মামুন, এমদাদুল, উজ্জ্বল, রেজাউলসহ আরও অনেকেই জানান, গত কয়েকদিন থেকেই নামাজের সময়সহ রাত-দিন দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এতে করে আমরা পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকেরা চরম দূর্ভোগে পড়েছি। এই অসহনীয় লোডশেডিং বন্ধ করার দাবি জানান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি মসজিদের ইমাম চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মুসল্লিদের খুব কষ্ট করে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। আবার কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং কম হয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর গজারিয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র দাস বলেন, গত কয়েকদিন থেকে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা শুধু গজারিয়া উপজেলায় নয়, বিভিন্ন উপজেলাতেও একই অবস্থা। আশা করছি, দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা হবে।
এদিকে ভবেরচর পল্লী বিদ্যুতের এটিএম বলেন, তুলনামূলক আমরা কম বিদ্যুৎ পাই, সেজন্য বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হয় না।
গজারিয়ায় আবারও ১০ ঘন্টা লোডশেডিং, জনজীবন অতিষ্ঠ
আগের পোস্ট