নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলায় বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মিত পাকা রাস্তাটি বর্তমানে যানবাহনের কাজে লাগছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশস্ত রাস্তাটিতে পায়ে হেঁটে এলাকাবাসী চলাচল করলে এর অধিক সুফল থেকে এলাকাবাসী বর্তমানে বঞ্চিত বলে শোনা যাচ্ছে। এ রাস্তা দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল না করার কারণে রাস্তার পাশের বসতিদের রাস্তার ওপরে ধইঞ্চা রোদে শুকাতে দেখা যাচ্ছে। সদ্য রাস্তা নির্মাণের পরেই গত বছরের বন্যার পানির তোড়ে এ রাস্তার দুটি অংশের স্থানের মাটি সরে যায়। তাতে রাস্তাটির পাকা দুটি অংশ অনেকটাই দেবে যায়। আর এর ফলে রাস্তাটি নির্মাণের পর থেকেই আর কোন যানবাহন চলাচল করছে না। এছাড়া এ রাস্তার পূর্ব দিক দিয়ে একটি ছোট ধরণের দেয়াল নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে সতর্কতার জন্য যাতে এ পথে ভুলক্রমে কোন যানবাহন প্রবেশ না করে। এ রাস্তা সম্পর্কে এলাকাবাসীর অভিমত হচ্ছে, দেবে যাওয়া অংশের রাস্তার উপরে শক্ত মাটি দিয়ে রাস্তা সমানভাবে লেভেল করে দিলে খুব সহজেই এ রাস্তায় যানবাহন চলাচল করতে পারবে। একটু উদ্যোগের অভাবে এ রাস্তাটি বর্তমানে সচল হচ্ছে না বলে অনেকেই মনে করছেন। জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার মিয়াবাড়ির স্টীল ব্রীজ থেকে ফজর আলীর বাড়ি পর্যন্ত সিসি রাস্তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ ১৪নং সদস্য মোঃ নাজমুল হোসেন। ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে আর সিসি রাস্তাটির ঠিকাদার ছিলেন মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রকল্পের আওতায় এর নির্মাণ কাজ করা হয় বলে জানা গেছে। উদ্বোধনী নাম ফলকে এ ধরণের তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে নির্মিত রাস্তার দু’ধারে নিচু জমি ও ছোট্ট খাল রয়েছে। সেখানে বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে অনেক সময়ে ভরে যায়। সেই সময়ে সেই উপচে পড়া পানি রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর তাতেই রাস্তার নিচের মাটি সরে গিয়ে এমন বেহাল দশা হয়েছে। এসব জায়গাতে আগে থেকে যদি গাইড ওয়াল দেয়া হতো তবে এমনটি হতো না বলে অনেকেই মনে করছেন। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ ১৪ নং সদস্য মোঃ নাজমুল হোসেনের সাথে যোগাযেগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
গজারিয়ার রাস্তার বেহাল দশা
আগের পোস্ট