টঙ্গীবাড়ীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণসমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। গত ৫ আগস্ট হাসিনা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর অনেকে লুটপাটে ব্যস্ত ছিল। আর তখন আমরা ছিলাম দেশের মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায়। সড়কে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছে আমাদের নেতাকর্মীরা বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি আরো বলেন, এখন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। ফ্যাসিস্ট সরকার ছাত্রদের পাখির মতো গুলি করে রাস্তায় ফেলে রেখেছিলো। আমরা খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। হিন্দুদের জান-মাল রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দিয়েছি। ইসলামী আদর্শে রাষ্ট্র পরিচালিত হয়নি এতদিন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে। আমরা সম্পদ, মন্ত্রী, এসপির জন্য রাজনীতি করি না। আমরা রাজনীতি করি দেশের কল্যাণে। গতকাল সোমবার বিকাল ৩টায় টঙ্গীবাড়ী উপজেলা পরিষদ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এই গণসমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি আলহাজ্ব কে এম আতিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মহিলা ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা নেছার উদ্দিন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় অর্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব কে এম বিল্লাল হোসেন। এসময় উপজেলা ও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম ঢালীর সভাপতিত্বে ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মোহাম্মদ ওবায়দুল সরদারের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মহিউদ্দিন বেপারী, জয়েন সেক্রেটারী মুফতি সানাউল্লাহ কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী রফিকুল ইসলাম বাদল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক গাজী মুহম্মদ জসিম উদ্দিনসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শাখার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত সহস্রাধিক নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, ভারতের পানি আগ্রাসন বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবে সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচন, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির প্রত্যাশা পূরণে ইসলামভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।