নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইইডিসিআরের রিপোর্টে দুইরকম সংখ্যা। আইইডিসিআর এর রিপোর্টে মুন্সীগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ আর মুন্সীগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্টে ৪৩। গত ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা মুন্সীগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ৪৩ জন। আইইডিসিআরের ওয়েব সাইটে এ পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৩৩ জন।
অপরদিকে মুন্সীগঞ্জে করোনা পরীক্ষার গত রবিবারের ৭০ জনের রিপোর্ট এখন পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জন অফিসে এসে পৌঁছায়নি। ওদিকে গতকাল সোমবার আরও ৫০ জনের রিপোর্ট আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তাই এখন ১২০ জনের রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে। মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ গতকাল সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের ১২টায় এই তথ্য জানিয়েছেন, ঢাকায় যোগাযোগ চলছে। এই রিপোর্ট যিনি পাঠান, তার কাছে এখনও এসে পৌঁছায়নি। ডাউনলোডেও কিছু সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, আইইডিসিআরের ওই দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তবে দ্রুতই হাতে রিপোর্ট আসবে বলে তিনি আশা করছেন। এ পর্যন্ত ৩৭৩ জনের সোয়াব সংগ্রহ করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ আরও জানান, এই নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৩৭৩ জনের সোয়াব সংগ্রহ করা হলো। এর মধ্যে গত শনিবার পর্যন্ত পাঠানো ২৫৩ জনের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৪৩ জনের পজিটিভ হয়েছে। এর মধ্যে মৃত ৫, নেগেটিভ এসেছে ২১০ জনের। আর ৭০ জনের রিপোর্ট আসার কথা ছিল গতকাল সোমবার। গতকাল সোমবার পাঠানো ৫০ জনের রিপোর্ট আসার কথা রয়েছে আজ মঙ্গলবারে। গত রবিবার আরও ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২১, সিরাজদিখানে ১১, টঙ্গীবাড়িতে ৭, শ্রীনগরে ৩, লৌহজং উপজেলায় ৮। সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সংগ্রহ সংখ্যা ছিল ৪৬। পরে রাতে আরও চারটি সংগ্রহ হয়। মোট আক্রান্তদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯ জন (এর মধ্যে শহরে ২ জন মালপাড়া ও মানিকপুরের), গজারিয়ায় ৮ জন, টঙ্গীবাড়ীতে ১০ জন, সিরাজদিখানে ৭ জন, শ্রীনগরে ৪ জন এবং লৌহজং উপজেলায় ৫ জন। আমাদের কাছে তাদের দেয়া রিপোর্টই প্রকাশ করছি। তাদের ওয়েবসাইটে কেন আপডেট হয় না। তা আমাদের জানা নেই।
আইইডিসিআর এর রিপোর্টে ৩৩, মুন্সীগঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগের রিপোর্টে ৪৩
আগের পোস্ট